মুখাবিষ্কার
পড়ন্ত বিকেলে গ্রামের কাঁচা রাস্তা ধরে হাঁটছিলাম
সাথে ছিল আমার ছোট বেলার বন্ধু নোমান। গন্তব্য- বকুল তলির হাট। দু'জনের উদ্দেশ্যই এক ও অভিন্ন - বাজার করা।
দুই বন্ধু গল্প করতে করতে 'এক্সিডেন্ট মোড়ে' এসে পরলাম। রাস্তার এই মোড়টি প্রায় ৯০ ডিগ্রী কোন। কাঠামোগত ত্রুটির কারণে এখানে মাঝে মাঝে সাইকেল,রিক্সার ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটে। সেকারণেই এই নামকরণ।
রাস্তার দুই ধারে ধুধু ফাঁকা মাঠ। এক্সিডেন্ট মোড়ের ঠিক বাম দিকে প্রায় ৫০/৬০ গজ দূরে একজন লোক প্রকৃতি কর্ম করতে বসে গেছে। দিন দুপুরে এমন অপকর্ম! নোমান আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। বুঝলাম,নিতান্ত বিপদে পরেই জনবহুল রাস্তার পাশে বসে গেছে লোকটি। তবে সে মোটেই বোকা লোক নয়। বিপরীত দিকে মুখ করে রাস্তার দিকে অনাবৃত পশ্চাৎদেশ প্রদর্শন পুর্বক দু'হাতে মুখ ঢেকে রেখেছে সে। মুখ দেখা না গলে তো আর ইজ্জত যাবে না। লোকটা চালাক বটে! নোমান এমন দূর্লভ দৃশ্য উপভোগ করে বেহায়ার মতো হাসছিল। গ্রামের চেনা কোন লোকই হবে হয়তো। নোমান লোকটিকে চেনার চেষ্টা করল । আমি তাকে ধমক দিলাম।
ততক্ষণে কিছু অতি উৎসুক পথচারী জড়ো হয়ে গেছে। কলম্বাসের আমেরিকা আবিস্কারের প্রত্যয় নিয়ে অনেকেই লোকটির মুখ আবিস্কারের চেষ্টা করছিল। বেচারা দু'হাতে মুখ ঢেকে ইজ্জত বাঁচানোর প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছিল। আমি উৎসুক জনতার উদ্দেশ্যে ধমক দিলাম। এতে কিছু লোক দৃষ্টি ফেরালেও বাকিদের কোন ভাবান্তর হলো না।
রাস্তার মোড়ের দিকে পশ্চাৎদেশ উন্মুক্ত করে যেভাবে লোকটি বসে আছে, তাতে মোড়টা ঘুরলে তার মুখের সম্মুখ ভাগের কিছুটা দৃশ্যমান হবার কথা। উৎসুক জনতা হাসতে হাসতে অতি আগ্রহে মোড় ঘুরে তার লজ্জা নীলাভ মুখটা সনাক্ত করার চেষ্টা করল। "কিছুতেই ইজ্জত দেবো না"- এমন ব্রত নিয়ে লোকটি সুকৌশলে উন্মুক্ত পশ্চাৎদেশ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মুখ আড়াল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখল। হতাশ লোকজন এবার গালি গালাজ শুরু করে দিল- "বেয়াদ্দপ লোক! লইজ্জা শরম নাই! দিনে দুফুরে খোলা জায়গায় অপকর্ম! শালার বাড়িত পায়খানা নাই?" ইতোমধ্যে অতি আগ্রহী দু'একজন ঢিল ছুঁড়তে শুরু করে দিয়েছে।
আমি ও নোমান তাদের ধমক দিয়ে থামাতে চেষ্টা করলাম- "লোকটা বিপদে না পরলে এমনটা নিশ্চয়ই করতো না । আপনারা কেন বেচারাকে খামাখা আরো বিপদে ফেলে দিচ্ছেন।" তাতে কিছুটা কাজ হলো। তবে গাল মন্দ অব্যাহত থাকল। কেউ কেউ আবার ঠাঁয় দাড়িয়ে লোকটির মুখ আবিস্কারের অপেক্ষা করতে থাকল।
রাস্তার দুই ধারে ধুধু ফাঁকা মাঠ। এক্সিডেন্ট মোড়ের ঠিক বাম দিকে প্রায় ৫০/৬০ গজ দূরে একজন লোক প্রকৃতি কর্ম করতে বসে গেছে। দিন দুপুরে এমন অপকর্ম! নোমান আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। বুঝলাম,নিতান্ত বিপদে পরেই জনবহুল রাস্তার পাশে বসে গেছে লোকটি। তবে সে মোটেই বোকা লোক নয়। বিপরীত দিকে মুখ করে রাস্তার দিকে অনাবৃত পশ্চাৎদেশ প্রদর্শন পুর্বক দু'হাতে মুখ ঢেকে রেখেছে সে। মুখ দেখা না গলে তো আর ইজ্জত যাবে না। লোকটা চালাক বটে! নোমান এমন দূর্লভ দৃশ্য উপভোগ করে বেহায়ার মতো হাসছিল। গ্রামের চেনা কোন লোকই হবে হয়তো। নোমান লোকটিকে চেনার চেষ্টা করল । আমি তাকে ধমক দিলাম।
ততক্ষণে কিছু অতি উৎসুক পথচারী জড়ো হয়ে গেছে। কলম্বাসের আমেরিকা আবিস্কারের প্রত্যয় নিয়ে অনেকেই লোকটির মুখ আবিস্কারের চেষ্টা করছিল। বেচারা দু'হাতে মুখ ঢেকে ইজ্জত বাঁচানোর প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছিল। আমি উৎসুক জনতার উদ্দেশ্যে ধমক দিলাম। এতে কিছু লোক দৃষ্টি ফেরালেও বাকিদের কোন ভাবান্তর হলো না।
রাস্তার মোড়ের দিকে পশ্চাৎদেশ উন্মুক্ত করে যেভাবে লোকটি বসে আছে, তাতে মোড়টা ঘুরলে তার মুখের সম্মুখ ভাগের কিছুটা দৃশ্যমান হবার কথা। উৎসুক জনতা হাসতে হাসতে অতি আগ্রহে মোড় ঘুরে তার লজ্জা নীলাভ মুখটা সনাক্ত করার চেষ্টা করল। "কিছুতেই ইজ্জত দেবো না"- এমন ব্রত নিয়ে লোকটি সুকৌশলে উন্মুক্ত পশ্চাৎদেশ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মুখ আড়াল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখল। হতাশ লোকজন এবার গালি গালাজ শুরু করে দিল- "বেয়াদ্দপ লোক! লইজ্জা শরম নাই! দিনে দুফুরে খোলা জায়গায় অপকর্ম! শালার বাড়িত পায়খানা নাই?" ইতোমধ্যে অতি আগ্রহী দু'একজন ঢিল ছুঁড়তে শুরু করে দিয়েছে।
আমি ও নোমান তাদের ধমক দিয়ে থামাতে চেষ্টা করলাম- "লোকটা বিপদে না পরলে এমনটা নিশ্চয়ই করতো না । আপনারা কেন বেচারাকে খামাখা আরো বিপদে ফেলে দিচ্ছেন।" তাতে কিছুটা কাজ হলো। তবে গাল মন্দ অব্যাহত থাকল। কেউ কেউ আবার ঠাঁয় দাড়িয়ে লোকটির মুখ আবিস্কারের অপেক্ষা করতে থাকল।
আমার কেবলই মনে হচ্ছিল- এহেন অপকর্মকারী নিরিহ লোকটির মুখ উৎসুক জনতা যতোটা প্রবল আগ্রহের সাথে আবিস্কার করার চেষ্টা করছে, এভাবেই যদি তারা মুখোশের অন্তরালে লুকানো প্রকৃত অপকর্মকারীদের মুখগুলো আবিস্কারের চেষ্টা করতো!! আহা! কতই না ভালো হতো!!"
No comments