আসিফ এর গান
গান যেহেতু পেশা তাই বানিজ্যিক গান গাইতে হয়। পেশার কারনে মিউজিক ভিডিও করতে বাধ্য হয়েছি। এমন কিছু গান গেয়েছি যেগুলো গাইতে মন সায় দেয়নি। অনেকের রিজিক জড়িত, পাশাপাশি কোম্পানীর অনুগতও থেকেছি। নতুন নতুন লেবেলের ডেব্যু হয়েছে আমার গান দিয়ে, প্রতিষ্ঠিত শিল্পীরা সাধারনত এ ধরনের ঝুঁকি নিতে চায়না। অনুরোধের আসর চাওয়া পাওয়ার আরেক নাম ছিল আসিফ। শেষ পর্যন্ত কঠিন থাকতে পারিনি। কারো মন খারাপ করতে চাইনি, আবার সবার মনও রক্ষা করতে পারিনি। বিশেষ করে জুনিয়রদের সাথে কাজ করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে ঢেঁকি গিলতে হয়েছে, তবে তারা আমাকে নিরাশ করেনি।
মিউজিক ভিডিও’র যুগ আসার পর আমি আরো একধাপ এগিয়ে নায়ক হয়ে গেছি। ভিউয়ের পিছনে ছোটা ইন্ডাষ্ট্রীতে আমিও ছিলাম বাজীর ঘোড়া। টানা তিনবছর দিনরাত শুটিং করে এখন ঘুম হয়ে গেছে মরিচীকা। করোনা আসার আগেই মিউজিক ভিডিও’র লাইন থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছি। মাথাও ন্যাড়া করে ফেলেছিলাম। তারপর প্রচূর কাজ এসেছে ভিডিও করার শর্তে, সিদ্ধান্ত বদলাইনি। দু’একটা কাজ করতেই হবে যেগুলোর কথা দেয়া ছিল। কিছু বন্ধুবৎসল প্রডিউসার আবার নিজ থেকেই আমার ইচ্ছাকে সম্মান জানিয়েছেন। আগডুম বাগডুম দু’তিনটা গান রিলিজের অপেক্ষায় আছে যেগুলো অনেক আগে গাওয়া।
এখন বেঁছে কাজ করছি। স্বাভাবিক ভাবেই আমার কাজ কমে গেছে প্রায় সত্তর শতাংশ। কিছু প্রডিউসার এখনো আমার গানই চান। তবে শর্ত একটাই, শুটিংয়ে সঙ্গে থাকবেন শুধু প্রাপ্তবয়স্ক গায়িকা। কঠিন সিদ্ধান্তটা নিতে হয়েছে নিজের বয়স এবং ম্যাচিওরিটি বিবেচনায়। ষ্টুডিও ভার্সন আর লিরিক ভিডিওতে নিজেকে সীমাবদ্ধ করে ফেলেছি। অনেক প্রতিকূলতা ফেস করতে হবে জেনেও ভিউয়ের ইঁদুর দৌড় থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি। সামনের দিনগুলোতে ভাল কথা সুরের অনেক গান করতে চাই। প্রোডিউসার না থাকলে নিজেই প্রোডিউস করবো সাধ্য অনুযায়ী। অডিও’র লোকজন পুঁজি নিয়ে ঢুকে গেছে নাটকে, ওখানে নাকি ব্যবসা ভাল। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা খুঁজবেন এটাই স্বাভাবিক। আমি আছি আত্মতৃপ্তির সন্ধানে, হারিয়ে যাওয়ার আগে নিজেকে খুঁজে পেতে চাই...
#লিখেছেন_আসিফ
No comments