Grameenphone
মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহকদের
জন্য সংক্ষিপ্ত মেয়াদে বিভিন্ন ইর্টারনেট প্যাকেজ চালু করেছে। যেমন,
গ্রামীন ফোনের ৯৪ টাকায় ১ জিবি ইন্টারনেট প্যাকেজ। মেয়াদ ৭ দিন। ৮ জিবি
ইন্টারনেট প্যাকেজ ৩৪৯ টকা। মেয়াদ ১৫ দিন। অন্যান্য অপারেটরাও এক্ষেত্রে
একদম পিছিয়ে নেই।
এবার আসল কথায় আসি। বিক্রেতা তার পণ্য বিক্রি করার সাথে সাথে স্বত্ব হারাবার কথা। ক্রেতা তার ক্রয়কৃত পণ্য ব্যবহার করে কতদিনের মধ্যে শেষ করবে সেটার মেয়াদ নির্ধারণ করে দেবার ক্ষমতা বিক্রেতার থাকার কথা নয়। অথচ সেটাই হচ্ছে।
এবার আসল কথায় আসি। বিক্রেতা তার পণ্য বিক্রি করার সাথে সাথে স্বত্ব হারাবার কথা। ক্রেতা তার ক্রয়কৃত পণ্য ব্যবহার করে কতদিনের মধ্যে শেষ করবে সেটার মেয়াদ নির্ধারণ করে দেবার ক্ষমতা বিক্রেতার থাকার কথা নয়। অথচ সেটাই হচ্ছে।
মোবাইল ফোন কোম্পানীগুলোর বেঁধে দেয়া সংক্ষিপ্ত মেয়াদের মধ্যে ক্রয়কৃত
ডাটা ব্যায় করা ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতুষ্ঠান কিংবা ইন্টারনেটে
আয়কারী কতিপয় ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রে সম্ভব হলেও অনেকের ক্ষেত্রেই ক্রয়কৃত
ডাটা অব্যাবহৃত থেকে যায়। মেয়াদ বাড়ানোরও কোন সুযোগ নেই। ফলে গ্রাহকের
নিজের টাকায় কেনা ডাটা গচ্ছা যাচ্ছে প্রতিদিন। অবশ্য সচেতন মহল বিশেষ করে
আমাদের তরুণ প্রজন্ম গচ্ছা দিতে একদম রাজি নয়। তারা অন্য কিছুর দিকে ঝুঁকে
পরছে। বিষয়টি একটু ব্যখ্যা করা দরকার।
মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর একটা বড় অংশ তরুন সমাজ। তাদের অধিকাংশই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা বয়সে কাচা এবং ভীষণ আবেগ প্রবণ।
মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার আগেই অধিকাংশ তরুণ প্রয়জনাতিরিক্ত ডাটা খরচ করার উপায় হিসাবে ইন্টানেটে ভিন্ন কিছু সার্চ করার সুযোগ পাচ্ছে। সেটা কি - নিশ্চয়ই ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন অাছে বলে আমি মনে করি না। তবে তারা যে তসবি তেলায়াত বা গীতাপাঠ দেখার জন্য গুগলের আকর্ষক সাইটগুলোতে ঢোকে না এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। ফলাফল যা হবার তাই হচ্ছে- পড়ার টেবিলে লেখাপড়ার চাপের বদলে ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার চাপটাই মূখ্য হয়ে উঠছে তাদের কাছে। ধীরে ধীরে সেটা অভ্যাসেও পরিনত হয়ে যাচ্ছে। এটা যে শুধু তরুণদের ক্ষেত্রেই হচ্ছে তা নয়। অাবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাই মিলে ১৮+ যুবক বনে যাওয়ার ফাও সুযোগ নিচ্ছে। অন্তত শান্তনা এই যে, কেনা ডাটা গচ্ছা যাচ্ছেনা।
এটা যে শুধু তারুণ্য বা নৈতিকতার অপচয় তা নয়। সময়, মেধা, স্বাস্থ্য,অর্থ, সামর্থ্য ও শ্রমেরও বিরাট অপচয় এটি।
একজন নাগরিক হিসেবে আপনার ক্রয়কৃত একটি পণ্য আপনি আপনার প্রয়োজনমত ব্যাবহার করবেন এটা আপনার অধিকার। রাষ্ট্র, সমাজ, প্রতিষ্ঠান বা কোন ব্যাক্তি আপনার ক্রয়কৃত পণ্য অতিরিক্তভাবে ব্যাবহার বা অপচয় করার জন্য কোনরুপ প্রলোভন বা চাপ প্রয়োগ করতে পারেন না।
প্রলোভিত করে কারো কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা অপরাধ। বানিজ্যিক সুবিধা আদায় করতে গ্রাহকদেরকে অনৈতিক অপচয়ের দিকে ঠেলে দেয়াও অপরাধ।
অপচয় কখনই ভালো কিছু বয়ে আনে না। এজন্যই ইসলাম ধর্মে একজন অপচয়কারীকে 'শয়তানের ভাই' বলা হয়েছে। অপচয় করা যদি শয়তানী হয়, আর শয়তানী করা যদি অপরাধ হয়, তাহলে শয়তানিতে প্রলুদ্ধ করার অপরাধে ফোন কম্পানীগুলোকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রয়োজন আছে বৈকি।
মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর একটা বড় অংশ তরুন সমাজ। তাদের অধিকাংশই স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী। তারা বয়সে কাচা এবং ভীষণ আবেগ প্রবণ।
মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার আগেই অধিকাংশ তরুণ প্রয়জনাতিরিক্ত ডাটা খরচ করার উপায় হিসাবে ইন্টানেটে ভিন্ন কিছু সার্চ করার সুযোগ পাচ্ছে। সেটা কি - নিশ্চয়ই ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন অাছে বলে আমি মনে করি না। তবে তারা যে তসবি তেলায়াত বা গীতাপাঠ দেখার জন্য গুগলের আকর্ষক সাইটগুলোতে ঢোকে না এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। ফলাফল যা হবার তাই হচ্ছে- পড়ার টেবিলে লেখাপড়ার চাপের বদলে ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার চাপটাই মূখ্য হয়ে উঠছে তাদের কাছে। ধীরে ধীরে সেটা অভ্যাসেও পরিনত হয়ে যাচ্ছে। এটা যে শুধু তরুণদের ক্ষেত্রেই হচ্ছে তা নয়। অাবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাই মিলে ১৮+ যুবক বনে যাওয়ার ফাও সুযোগ নিচ্ছে। অন্তত শান্তনা এই যে, কেনা ডাটা গচ্ছা যাচ্ছেনা।
এটা যে শুধু তারুণ্য বা নৈতিকতার অপচয় তা নয়। সময়, মেধা, স্বাস্থ্য,অর্থ, সামর্থ্য ও শ্রমেরও বিরাট অপচয় এটি।
একজন নাগরিক হিসেবে আপনার ক্রয়কৃত একটি পণ্য আপনি আপনার প্রয়োজনমত ব্যাবহার করবেন এটা আপনার অধিকার। রাষ্ট্র, সমাজ, প্রতিষ্ঠান বা কোন ব্যাক্তি আপনার ক্রয়কৃত পণ্য অতিরিক্তভাবে ব্যাবহার বা অপচয় করার জন্য কোনরুপ প্রলোভন বা চাপ প্রয়োগ করতে পারেন না।
প্রলোভিত করে কারো কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা অপরাধ। বানিজ্যিক সুবিধা আদায় করতে গ্রাহকদেরকে অনৈতিক অপচয়ের দিকে ঠেলে দেয়াও অপরাধ।
অপচয় কখনই ভালো কিছু বয়ে আনে না। এজন্যই ইসলাম ধর্মে একজন অপচয়কারীকে 'শয়তানের ভাই' বলা হয়েছে। অপচয় করা যদি শয়তানী হয়, আর শয়তানী করা যদি অপরাধ হয়, তাহলে শয়তানিতে প্রলুদ্ধ করার অপরাধে ফোন কম্পানীগুলোকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর প্রয়োজন আছে বৈকি।
No comments